রাজধানী প্রতিবেদকঃ রাজধানীর গাবতলী টার্মিনালে বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাউন্টার খুলেছে, চলছে টিকিট বিক্রি। বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই যাত্রীরা আসছেন টিকিট কিনতে।
লকডাউন শিথিল করে আজ রাত থেকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরপর থেকেই কর্ম চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে পরিবহন সংস্থার কর্মীদের মাঝে।
সকাল থেকেই টার্মিনালে বেড়েছে ব্যস্ততা। বাস কাউন্টারগুলোতে যেমন টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তেমনই শুরু হয়েছে গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। একইসঙ্গে চালক ও হেলপাররা গাড়ির ইঞ্জিন চালু করে দেখছেন সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা।
মাগুড়া যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে এসেছেন আফসার উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কাল সকালে বাড়ি যেতে চাই, এজন্য আজকেই টিকিট কাটতে আসলাম। এত দিন বন্ধ থাকার কারণে ভিড় হতে পারে, পরে হয়তো টিকিট নাও পেতে পারি।’
পরিবহন শ্রমিকদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। গাড়ি ধোয়া মোছা, ইঞ্জিন পরীক্ষা করাসহ অন্যান্য কাজ করছেন তারা।
যমুনা লাইন পরিবহনের কর্মী রাসেল মিয়া বলেন, ‘ঈদে গাড়ি চলবে, মানুষজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে অন্তত কিছু টাকা পয়সা পাবো। গাড়িগুলো ধুয়ে-মুছে রেডি করতেছি। সব ঠিক থাকলে কাল থেকে আবারও আমরা কাজে ফিরবো।’
কাউন্টার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ হকাররাও হাজির হয়েছে টার্মিনালে। তারাও আশাবাদী, ঈদকে কেন্দ্র করে টার্মিনালে তাদের কিছু আয় রোজগার হবে।
ফেরি করে পানি, শুকনা খাবার বিক্রি করেন আলামিন। তিনি বলেন, ‘কাউন্টার বন্ধ থাকলে আমাদের আয় বন্ধ থাকে। বাইরেও তো যেতে পারি নাই। এ কদিন খুব কষ্টে ছিলাম।’
পরিবহন শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, ‘লক ডাউন হলে আমরা কী কষ্টে দিন পার করি, এটা বলে বোঝাতে পারবো না। বেশিরভাগ শ্রমিক মাসিক বেতন পায় না। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ, হাজিরা নাই, টাকাও নাই। ঈদে এই কদিন অন্তত না খেয়ে থাকতে হবে না।’